বিতার্কিক ও বুদ্ধিজীবী

বিতর্ক জিনিসটা সমাজ ও দেশের নামে করা হয়। কিন্তু এগুলি অভিনয়। ভুল বা ঠিক এর চাইতে জিতাটাই প্রধান থাকে বিতর্কে। ভুল চিন্তা সহকারে জিতার আনন্দ অল্প বয়সে মানায়।

অল্প বয়স পার হইলে বিতর্কের টেকনিক্যাল বিষয়গুলিরে কাজে লাগাইয়া বেটার কিছু করতে পারেন বিতার্কিকরা। যেমন তারা যদি চান, বুদ্ধিজীবী হইতে পারেন সহজেই। কেননা, সব বিতার্কিকই একজন বুদ্ধিজীবী হওয়ার দক্ষতা ধারণ করেন।

যেই বয়সে একজন বিতার্কিকের নিজের প্রতিভা কোথায় কাজে লাগাইতে হবে তা বুঝতে পারার কথা, সেই বয়সে যদি না বোঝেন তখন এইটারে তার প্রজ্ঞার অভাব বলতে হয়।

অনেক বিতার্কিকই দক্ষতা বা প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও বুদ্ধিজীবী হইতে আগ্রহী হন না। বুদ্ধিজীবী হওয়ারে তারা পণ্ডশ্রম মনে করেন।

বির্তাকিক বুদ্ধিজীবী হইতে না’ই চাইতে পারেন। কত ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তার সাংবাদিকতা করতেছেন না? করেন তো। বা অনেক আর্কিটেক্ট চাকরি করেন ব্যাংকে! সেইটা তাদের যার যার খুশী। কিন্তু এই খুশীর কারণে কী ঘটে?

যখন একজন বিতার্কিক ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বুদ্ধিজীবী হইতে চান না, তখন এইটা তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অপচয়; দেশ ও সমাজের প্রতি স্বার্থপর অবস্থান।

বুদ্ধিজীবিতা কোনো ফ্যাশন বা আভিজাত্য শো করার জিনিস না, এইটা দেশমাতৃকার প্রতি তার যোগ্য সন্তানদের কর্তব্য গ্রহণের অন্য নাম। জনগণের জন্যে উৎপাদিত চিন্তা ও অ্যাকশনের ভুলগুলি কেউ না ধরতে পারলে যে সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তা থিকা নাগরিকদের রক্ষা করেন বুদ্ধিজীবীরা।

সমাজ তার মধ্যে গইড়া ওঠা সম্ভাবনাময় বিকশিত চিন্তারে বুদ্ধিজীবীদের মাধ্যমে নিজের উন্নতি ও রক্ষায় কাজে লাগায়। তাই বুদ্ধিজীবী হওয়ার যদি ক্ষমতা থাকে এইটারে আভিজাত্য হিসাবে না ভাইবা বুদ্ধিজীবী হন। কে আপনারে বুদ্ধিজীবী বইলা ডাক দিবে সে আশায় বইসা থাইকেন না! বুদ্ধিজীবী নিজে হওয়ারই বিষয়।

অতএব, সমাজ ও দেশের নাম ভাঙ্গাইয়া বিতর্ক কইরা যারা খান ও বড় হন, তাদের বুদ্ধিজীবী হইতে না চাওয়াটা কোনো ভাল কথা না।

১৪/৬/২০২৪

Leave a Reply