আবার সকালবেলা
বস্তুত আবার হওয়াটি হয়
বাস্তবতা ঘটতে থাকে
বাস্তবতা শুরু হয় ভোরবেলা
ঘুম থেকে জাগার পরেই
উঠব না উঠব না করে
মৃত্যু থেকে জেগে উঠে ভোরবেলা হাঁটতে যাই লেকে
ছবি আঁকছে শামলা মেয়ে কালো টিপ ছাতা পেতে মাথার ওপরে
তার ছবির বিষয়
গুণাগুণ
যদি নাই
কিংবা থাকে
তার পাশে তরুণ গম্ভীর
আরো আরো চিত্রকর বয়সে নবীন
তারুণ্য তাদের ধন
তাই তারা সম্ভাবনাময়
বিদ্যালয়-প্রশাসিত বাঁধানো খাতায়
নবীন চিত্রশিল্প ঘটতে থাকে
আবার সকালে। যেন
ধান খেতে হালিধান
আবার সবুজ—
আবার সকাল বেলা শিশির নিবিষ্ট হলো
চারাগাছে, পাতায় পোকার পাশে
আবার শিশির;
আবার সকাল বেলা যা ঘটেছে
আবার সকাল বেলা যা ঘটেছে
তাই বাস্তবতা
তুমি সন্ধ্যা হবে শাহবাগে
বসে থাকবে খাবার দোকানে
আর দোকানের সামনে থাকবে মোটর সাইকেল
আর একই কথা বলছো বলে মনে হবে
যেহেতু দোকানে—মানে একই তো দোকান
আবার এসেছে, সেই একই আসা
যেহেতু সকালে তুমি ঘুম থেকে জাগতে হলো
অভিশপ্ত বাস্তব জাগাটি
জাগতে হলো ভোরবেলা
যারা শুধু দেখাবে মলিন মুখ
বলে বলো হলো কি সকাল!
তারা কোথায় হাসতে যায়, আনন্দ কোথায় তারা
নিঃশেষিত ক’রে
এসেছে তোমার দ্বারে
কাঁদবে বলে
হা-হুতাশ করবে বলে
শেয়ার করতে চায় তারা দুঃখ
বিস্মরণ
ভুলে যাওয়া দুঃখ আর মনে করা দুঃখ আর
ভবিতব্য যত দুঃখ দিয়ে গেছে
ঘটার আগেই
তার সব বাস্তবতা এসেছে ভোরের বেলা
যেন আবার এসেছে
যেন আরো আগে এসেছিল
যেন বাস্তবতা দিয়ে যাবে
বলে তারা কথা বলে
যৌক্তিক মৃত্যুর মতো
স্থির ভবিষ্যৎ
আমারে গছায়ে যাবে
বলে হাসে ক্রুর হাসি
হাত না ধরেই তারা
কোনো যৌন কিছু না করেই তারা
ভোরবেলা
বাস্তবতা সঞ্চারিত করে
এই মনের ভিতরে
এই দেহের ভিতরে
জেগে ওঠে ভোরবেলা মৃত্যুর মতোই
যদি না জাগিতে যদি ভোরবেলা
অন্য কিছু হতো কি সকাল?
৩১/৩/২০১১