মা রে!

এইখানে এই স্কয়ার হাসপাতালের কোনাকুনি দক্ষিণ দিকটায় ষোলো তলায় আমি থাকি সাত বছর। নিচে হাসপাতালে ঢোকার রাস্তাটা আর তার পাশের রেস্টুরেন্টের কোনাটা দেখা যায় বারান্দা থিকা। আমার বারান্দায় একটা করমচা গাছ, একটা লেবু গাছ, বেলি ফুলের রোগা একটা গাছও আছে। ওনার পাতারা খয়েরি হইয়া যাইতেছে। এক চিলতা বারান্দা, তাই আমি আর সেইখানে তেমন দাঁড়াইও না। প্রায়ই রাতে লোকজন কান্নায় হঠাৎ ভাইঙ্গা পড়ে নিচে স্কয়ারের কূলে। শুনছি হাসপাতালগুলি নাকি দিনে লাশ ডেলিভারি দেয় না। বা রাতে ছাড়া নাকি মৃত্যুসংবাদও দেয় না হাসপাতালঅলারা।

তো, আজকে রাত বারোটার পর থিকা অনেকক্ষণ ধইরা একটা লোক নাকি ছেলে ওই স্কয়ার হাসপাতালে ঢোকার মুখটায়, রেস্টুরেন্টটার কোনায় বইসা দুইহাতে হাটু ধইরা মাথা নাড়াইতেছে আর চিল্লাইতেছে–‘মা মারে!’ ‘মা মারে!’

অন্ধকারে তারে আবছা দেখা যায়। পাশে তিন চার জন হাসপাতালের গার্ড। আর কেউ নাই।

২৬/৯/২০১১, পান্থপথ, ঢাকা

 

2 Comments

Add Yours →

ভালো লাগছে , যদিও আপনার সব লেখাই ভালো লাগে , কিন্তু এইটা বেশী মনে ধরছে।

Leave a Reply