এই যারা কাজ করছে
চারিদিকে
উত্তাল পাহাড় কুঁদে তুলে আনছে
অষ্টাবক্র মুনির রূঢ়তা
তাদের প্রহরা করি
আয়তক্ষেত্রের রাজা সুসামন্ত আমি এই
চরণে রয়েছে চিহ্ন ইশ্বরের
–প্রপিতামহের।
চারিদিকে এই যারা ছড়ানো ছিটানো
নুয়ে পড়া, হীনমুখ, ব্রাত্যজন
জনতা যাদের নাম
ওঠে বসে শোয় যারা অঙ্গুলিনির্দেশে
প্রত্যহ তাদের জন্য কৃপা করি
কৃপাভিক্ষা করি। যেন
ইশ্বর উদ্দিষ্ট দেন–
তাকান নিচুতে।
আমার পায়ের কাছে
এত এত নিবেদন
রাজভক্ত, গণ্ডগ্রাম, খঞ্জ ও রমণী
সবারই মস্তক নিচু
জ্ঞানভারে–
সব মুখ অন্ধকার
সব ভক্ত নুয়ে নুয়ে হাঁটে
কেননা তাদের
পদচ্ছাপে উল্লিখিত জন্মের রহস্য
আর মৃত্যুর নিদান।
পবিত্র মৃত্তিকা শুধু
উদগীরণ করে–
যা কিছু সংযতবাক
জড় ও পুরাণ–যা কিছু শিলায় সৃষ্ট
শিলাপ্রাণ ধরে–
তাদের ব্যগ্র মুখ উদ্যত শরীর
হেঁকে উঠছে একে একে
আমার চারপাশে।
এবং যা কিছু দেখো,
সমস্তই নির্ধারিত
একমাত্র আমার–
যা কিছু দূরত্ব আর
যা আছে নিকট–যা যতো মনুষ্য আর
তাদের নিজস্ব
যা আছে রমণী আর পালের শিশুরা
দিগন্ত অবধি সব আমার সন্তান।
১৯৯২