চাপা দুর্গন্ধ সেইখানে খাবারের। ঢোকার সময় কী জানি নাম আমার জাস্ট আগের বান্ধবীর বান্ধবীরে দেখলাম রেস্টুরেন্টটার দুয়ারে দাঁড়াইয়া থাকতে। বয়ফ্রেন্ডের জন্য অপেক্ষা করতেছিলেন কি? হায়! কয়েক বছর আগে একবার দেখছিলাম ওনারে। তখন আমি প্রথম বা দ্বিতীয় দেখা করতে গেছিলাম তখনও বান্ধবী হয় নাই কিন্তু পরে বান্ধবী হইছে এমন সেই বান্ধবীর লগে। তো বান্ধবীর অফিসে ঢুকতে গিয়া দেখলাম দুই উৎসাহী তরুণের লগে দ্রুত বাইরাইতেছেন উনি। আমার মুগ্ধতা হইল তার দাঁতের গঠন দেইখা। আমি অবলীলায় হুদা হুদাই ভাইবা নিলাম তিনিই আমার বান্ধবী। বললামও, যাইতেছেন গা যে! ও আপনি ও না! ঠিক আছে দেখা হবে।
তো আমরা–তুর্কি মেয়েটার কী জানি নাম ছিল–সে আর আমি খাবারের দোকানটায় বইসা কী জানি একটা খাইতেছিলাম। সর্বভারতীয় চটপটি কি? বাজে। ঠাণ্ডা চটপটিই বোধহয় গরম কইরা দিছিল। ওরা, ওই চটপটিরা–নাকি অন্য কারা–দ্রুত ঠাণ্ডা হইয়া আসতেছিলেন। খাইতে খাইতেই। আগলি খাবার। মোটা মেয়েটা (কালো না) মানবাধিকার নিয়া কথা কইতেছিল। কী যে বলছিলাম মনে পড়তেছে না। শিক্ষা নিয়া বলতেছিলাম কি? যে শিক্ষা কেন খারাপ। কেন ফকিন্নির বাচ্চাদের পড়াশোনা করাইতে হবে না রাষ্ট্রে।
চটপটি (নাকি অন্য কিছু) যখন আর খাইতে পারতেছিলাম না আমরা তখন একটা ছোটলোকদের স্কুলে আমি আর্ট শিখামু কিনা জিগাইলেন উনি। আমি না বললাম। উনি সংযোগহীন হইয়া রইলেন তারপরে। উনি কি দেশে? নাকি টার্কিতে। নাকি ইন্ডিয়া গেলেন!
বেরনোর সময় শ্বদন্ত মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড তখনও আসে নাই বইলা তিনি তখনও অবলা দুবলা সন্ধ্যার আগে আগে–যেন আমার সঙ্গে কথা বলতেও অসুবিধা তার নাই। জিজ্ঞেস করলেন, কেমন আছেন রাইসু ভাই। ওর সঙ্গে দেখা হয় আপনার?
২৯/৯/২০১১