কবিতায় আমার সমসাময়িক কারা এই লইয়া একটু ভাবনা ভাবলাম। এই যে নব্বই দশক কী আশি দশক বা শূন্য বলেন, আমি কি এদের কবি হিসাবে দেখতে পাই? পাই না। বরং ভারতচন্দ্র বলেন, মধুসূদন বলেন, রবীন্দ্রনাথ কী জীবনানন্দ বা শক্তি চট্টোপাধ্যায় বা আল মাহমুদ বা ধরেন উৎপল, বিনয়, অলোকরঞ্জন বা ফরহাদ মজহার বা আলতাফ হোসেন (কিছু নাম বাদ গেল, পরে ঢুকামু)–এরা আমার সমসাময়িক কবি। এনাগো সমসাময়িক ভাবতে পারলে সুবিধা বেশি। কবিতার আর সব মাহাত্ম্য বাদ দিলেও কেবল টেকনিকের দিক থিকাও ওনাদের অনেক ব্যাপার অধরাই রইয়া গেল!
তেমন ধরনের নতুন বা পরবর্তী কবির দেখা আমি পাই নাই। কবিদের ক্ষেত্রে দশকইয়ারি হইল এক মানববন্ধনের মত, হয়তো পাশে দাঁড়ানো কঙ্কালের হাতটি ধইরা মইরা আঙুল মটকাইতেছেন–তা তো করা যাইতেই পারে, তবে যদি কবিতা লেখতে আসছেন তইলে এই কাম আপনের লয়। পরে জন্মলাভ, স্বাস্থ্যহীনতা, সংখ্যালঘুত্ব, অনাহার, প্রগতিশীলতা, গধ্যে মার মার কাট কাট, নিভৃতিচর্চা, সহজ অনুশীলন এগুলা কিছুই কবিতা দিব না আপনেরে। ছোট ভাইরা, বড় ভাইগো থিকা দূরে থাকলে কী মিশশা গেলেই কবিতা লেখন যাইব না। ভালো কবিতা লিখলে আপনি নিজেই টের পাইবেন। যেমন খারাপ লেখইন্নারাও নিজে টের পায়–আমিও পাই।
পান্থপথ, ১৫/২/২০১০
লোক, দশ বছর পূর্তি সংখ্যা, সম্পাদক: অনিকেত শামীম, ফেব ২০১০