গণতান্ত্রিক সমাজে, সাধারণ মানুষের চাইতে কম কাণ্ডজ্ঞান ও অধিক তথ্য ধারণকারী অর্গানিক বস্তুদশার নাম বুদ্ধিজীবী।
একই ধরনের কথা কে কে আগে বলছেন তার হদিস প্রদানের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের গুরুত্ব ও উৎকর্ষ নির্ণীত হয়।
এই বর্গের স্তন্যপায়ীরা সাধারণত রাজধানীতে ঘাপটি মেরে থাকে। এরা ইউনিভার্সিটি গ্রান্ড কমিশন, ভিনদেশি সাহায্য সংস্থার অদরকারি অনুবাদ ও খবরদারি উপার্জন পদ্ধতিতে বারোমাস নিষিক্ত থাকে।
আপন মুখনিসৃত বাণীসমূহের ব্যাপারে এই জৈববস্তুটি সবচাইতে নিশ্চিত ধারণা পোষণ, প্রমাণ ও প্রচার করে।
প্রধানত প্রতিপত্তি ও দ্বিতীয়ত অর্থের বিনিময়ে জনস্বার্থের অবিরল গোয়া মারাই বুদ্ধিজীবীদের রাজনৈতিক অবদান।
সাধারণ মানুষের বাসাবাড়িতে টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বুদ্ধিরা হানা দিয়ে থাকে। তুলনায় অধিক বুঝদার গণমানুষের মগজ ধোলাইয়ের নিমিত্তে এরা সেখানে অন্য বুদ্ধিদের সঙ্গে তথ্য ও নিশ্চিতি বিনিময় করে। লোকে এই লেনদেনকে ‘টকশো’ নামে অভিহিত করে থাকে।
১৩/১/২০১৪