রাইসুরে গুনার টাইম নাই

রাইসুরে নিয়া আসলে সময় খরচ করতে চাই নাই। তবু কয়েকজনের তাগাদায় লিখলাম।

ব্লগে লিখতে গিয়া নিজস্ব একটা ভাষারীতি খাড়া করাইছিলাম। ফেবুতে যখন একটু পরিচিত হইয়া উঠছিলাম তখন প্রথম জানতে পারি রাইসু নাকি এই ভাষারীতির প্রবক্তা। যদিও তার আগে রাইসু সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না।

এরপর তার নেয়া কয়েকটা সাক্ষাৎকার পড়লাম অনলাইনে। তেমন আহামরি ব্যতিক্রমী কোনো মুন্সিয়ানা সেই সব সাক্ষাৎকারে পাই নাই। তবু এই সময়টায় আমি তারে ফেসবুকে ফলো দিছিলাম। তখন তার অল্প কথার কিছু চটকদার স্টাটাস পড়ছি। এই সময় তারে অকারণে ছটফট করা বালক মনে হইছে আমার। কেডা কেডা তার পোস্টে লাইক কমেন্ট দেয় আর কেডা কেডা দেয় না সে সব খবর রাখার মত টাইমও তার হইত।

দিপ্র হাসান

ইনবক্সে টুকটাক কথা হইত। কী কী কথা হইত এখন আর মনে নাই। একদিন মনে হয় দেখা করার আগ্রহ জানাইছিলাম, আরেকদিন সম্ভবত সমকালীন একটা উপন্যাস পড়ছে কিনা জিগাইছিলাম। যাই হোক কিছুদিনের মইদ্যেই আমি তার প্রতি আগ্রহ হারাই ফেলি। এবং তার সাথে আমার এখন পর্যন্ত দেখা হয় নাই। আর দেখা হবার সম্ভাবনাও সম্ভবত নাই।

তার সমালোচনা কইরা কি একটা বা একাধিক স্টাটাস দিছিলাম সম্ভবত। তখন তার কিছু ভক্তের কবলে পড়ছিলাম। একজন রাইসু কত বড় দার্শনিক এইটা বুঝাইতে গিয়া তখন আমারে কইছিল, সে ছফারে স্বমেহন করে কিনা এই প্রশ্ন করছিল। বুঝলাম দার্শনিক হইতে হইলে প্রশ্ন করতে পারাটা একটা বড় গুণ। রাইসুর সেই গুণ আছে!

আমি আসলে এহনো বুঝি না এই লোকরে পাবলিক কোন বিবেচনায় দার্শনিক বলে। চিন্তার ক্ষেত্রে তার অভিনবত্ব কী সেইটাও আমি ক্লিয়ার না।

বাংলাদেশে দার্শনিক ব্যাপারটা অনেকটা পীর মুরিদীর মত। একজন দার্শনিক মারা গেলে তার ভক্তদের মধ্য থেকে একজনরে পরবর্তী দার্শনিক বানানো হয়। এভাবে এখানে দার্শনিকদের সিলসিলা চইলা আসছে। প্রফেসর রাজ্জাক, ছফা, মজহার, সলিমুল্লাহ, রাইসু এইভাবে সিলসিলা চলছে। দার্শনিকের ভক্ত বা ছাত্র হওয়াই যেন এইখানে দার্শনিক হবার একমাত্র শর্ত।

বেশকিছু মোটামুটি মানের প্রতিভাধর লোক যারা মূলত ছফা-মজহার কেন্দ্রিক একত্রিত হইছে, এই রকম একটা গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ায় রাইসু বেশ বড় একটা সুবিধা পাইতাছে। সামান্য যোগ্যতা দিয়াই সে অনেক বড় কামেল হিসাবে আমাদের সামনে হাজির হইতে পারতেছে। বাঘ নাই বনে শিয়াল রাজার মত রাইসু এই গোষ্ঠীর তরুণ অংশের মইদ্যে রাজত্ব করতাছে। এমনকি মাঝে মাঝে সে প্রবীণ অংশ মানে সলিমুল্লাহ মজহাররেও খারিজ কইরা দিতাছে।

একদল তরুণীর মইদ্যে সে অবশ্য নিজ গুণেই এরশাদের চরিত্র নিয়া হাজির হইতে পারছে। কচি মেয়েদের প্রতি ভালবাসা সে প্রকাশ্যেই জানান দেয়। হ এই একটা জায়গায় আমি তারে ঈর্ষা করি। আমি কচি তো দূরে থাক কোনো বয়সের মেয়েই পটাতে পারি না। তবে তার এই ফুলের মত চারিত্রিক ব্যাপারটা সাম্প্রতিক ফেসবুক তোলপাড় করা ক্যাচালের আগে জানা ছিল না আমার। আমার বিশ্বাস রাজনীতি করলে তার এই প্রতিভার কাছে এরশাদ ফেল মাইরা যাইত।

সবশেষে একটা কথাই বলব, এই দেশে গোষ্ঠীবদ্ধতা একটা লোকরে কোথায় নিয়া যাইতে পারে রাইসু তার জীবন্ত উদাহরণ।

5 Comments

Add Yours →

রাইসু ,গ্রহণ করায় অক্ষম এমন জায়গায় মাল ছিটায় না |চোদা তো দূরে থাক|আশা করি বুঝবেন

রাইসু মনে হয় অন্যের মতামত প্রকাশ করতে বেশ সহায়ক একটা লোক। এইটা তার প্রমাণ।

এই যে তারে নিয়া এমন একটা লেখা লেখা হইল, একজন তারে নিয়া যা ভাবলো তার স্পষ্ট একটা প্রকাশ ; যা ‘সামাজিক চোখে’ রাইসুর বিরুদ্ধাচরণ, কিন্তু মতপ্রকাশে সহযোগী রাইসু যে এটা প্রকাশ করতে পারে এখানেও তো রাইসুর অন্যন্যতা রয়ে গেল।

Leave a Reply